জাতীয় কবিকে জেনে নিন

আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, শনিবার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন।

মসজিদের হুজুরদের সরকারি বেতন দিতে হবে - ডাঃদীপু মনি

মসজিদের হুজুরদের যা বেতন তাতে রাতে যে মুসল্লিদের ঘরে চুরি করতে যায় না এটাই তো অস্টাশ্চার্য বিষয়

৫২ পণ্যে নিষেধাজ্ঞা

বাজার থেকে ৫২ পদের জিনিস ক্রয় করতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে আদালত থেকে। কেউ আমার থেকে লিখিত নিয়ে যান, লিখে দিচ্ছি।

মা-বাবার করণীয়

সন্তানের প্রতি অাপনার (মা-বাবার) করণীয়ঃ ১. সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থা মায়ের উচিত অাল্লাহকে ভয় করা,সুসন্তান কামনা করা,নিজে অাল্লাহর হুকুম পালন করা।বেশী বেশী নামাজ ও কুরঅান পড়া ভলো।

অাপনার পছন্দের বাসটি বেঁচে নিন!

১. গ্রীন লাইন ২. দেশ ট্রাভেল্স ৩. হানিফ ৪. ইনা ৫. স্টার লাইন

Saturday 26 September 2020

মওলানা মওদূদী ও সমসাময়িক আলেম

 সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী

———————————————
১। তিনি ইসলামকে কালের ও যুগের চাহিদার আলোকে তুলে ধরার এক বিশাল ক্ষেত্র তুলে ধরেছেন। ইমাম নাদাওয়ী এইটাই সব সময় মাওদূদী সম্পর্কে বলে গেছেন। যে তিনি আধুনিক শিক্ষিতদের কাছে খুব ই বোধগম্য করে ইসলাম কে তুলে ধরেছেন। তার ইসলাম পরিচিতি বইটা পৃথিবীর সব ক’টি ভাষাতে অনুবাদিত হয়েছে। মাবিদিউল ইসলাম বই টা আমার এক আরব প্রফেসর কে পড়তে দিয়েছিলাম। তিনি বললেনঃ মওদূদীর নাম অনেক শুনেছি, তবে এই বইটাই তার নাজাতের উসিলা হয়ে যেতে পারে।
.
২। তিনি দেখেছিলেন ভারত স্বাধীন হয়ে যাবে। এখানে মুসলমানদের শক্তি অর্জনের সুযোগ নিতে হবে। সেই সময়ের লেখা তার সব লেটারেচার দেখলে মনে হয় তিনি হিন্দু মুসলিম দুই জাতি চেতনায় ভারত স্বাধীন হোক এইটা চেয়েছিলেন। এতে মুসলমানদের খুব বেশি লাভ হয়নি এটা সত্য, কিন্তু ইসলামি রাস্ট্র ব্যাবস্থার যে প্রকৃত রূপ কি হবে তা চোখে আঙুল দিয়ে তিনি মানুষদের দেখিয়েছেন। এই রাস্ট্র ব্যবস্থার স্বরূপ সন্ধানের তার যে সব দৃষ্টি ভংগী তাতে হাকিমিয়্যাতের কন্সেপ্ট ছাড়া আর কোন ব্যপারের কেও কথা বলেনি। তার দেখানো পথে ইখওয়ানের নেতৃত্ব প্রভাবিত হহয়েছে, হিযবুততাহরীর পথ দেখেছে, তাবলীগ নিজেদের কে সেই মহান পথের দিকে ধীরে ধীরে যাবার কথা বলেছে, হাসান তুরাবী ইনকিলাবের পথে যেয়ে পাওয়ার শেয়ার করেছেন, পাস ইসলামি হুকুমাত কায়েম করে কেলান্তনে সুপ্তি ভেঙেছে। ইসলামি রাস্ট্র ব্যবস্থার স্বরূপ প্রবর্তনের ফলে মুফতী শাফী (র) ও আইয়ুব খানের আমলে ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সময় মাওলানার কথা গুলো এতই দাম দিয়েছেন।
.
৩। ইসলামি আন্দোলন নামে তিনি ইসলামি জাগরণের একটা সিস্টেমেটিক পদ্ধতি উপহার দিয়েছেন। এখনো বাংলাদেশের যত গুলো ইসলামি দল ভালো ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা তার চিন্তাচেতনার বাইরে যেতে পারেনি। আপনি বিশ্বাস না হলে আহলে হাদীসের হারাকাতুশ হসুব্বানে সংবিধান ও কর্মপদ্ধতি দেখুন, খেলাফত আন্দোলনের কর্মপদ্ধতি দেখুন। সাইয়েদের সমাজ বিপ্লবের ধারা পড়ুন। হিযবুততাহরীরের ইসলামি খেলাফত প্রবর্তনের ধারা গুলো দেখুন। ঐ সব ঘুরে ফিরেঃ দাওয়াত, তানযীম, তারবিয়্যাত, মুয়াশারাত ও হুকুমাত। ঐ ঘুরে ফিরে ক্যাডার। ওই ঘুরে ফিরে আমীর, নায়েবে আমীর, শুরা, ইউনিট ইত্যাদি ইত্যাদি।
.
৪। তিনি ইসলামকে সার্বজনীন মতাদর্শ ও কমপ্লিট কোড ও লাইফ বলতেন। তিনি সব দিকে দিয়েই একজন মুসলিমকে ইসলামী হয়ে উঠতে বলতেন। সব মানবেন, আবার ঘুষ খাবেন, বড় দাড়ি ও জুব্বা পরে সুদের কারবারীতে লগ্নি খাটাবেন, এই রকম দ্বৈততা থেকে তিনি বেরিয়ে আসতে বলেন মুসলিম সমাজকে। যদিও তার এই কথা আজো মনে হয় বাস্তবিক নয়। কিন্তু মুসলিম হবার অর্থ তো উদখুলু ফিস সিলমি কাফফাহ। এই পূর্ণ মুসলিম হবার চেতনাটাকে তিনি ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাস্ট্রীয় আঙীনায় ও বৈশ্বিক প্রবাহে সঞ্চারিত করতে চেয়েছিলেন। তার তাযকিরাতুদ দুআহ বইটা পড়ে আরবদের রাতের ঘুম ও হারাম হয়ে যেতো ক্রন্দনের কাতরতায়।
.
৫। তিনিই ছিলেন বিশ শতকের প্রথম ব্যক্তি যিনি সুদের প্রকোপ থেকে বের হবার পথ সুদ ও ইসলামিক ব্যাংকিং কিংবা ইসলামের অর্থনীতির সহায়ক গ্রন্থ লিখে মানুষকে পথ দেখান। তার চিন্তা ধারা গুলো প্রফেসর খুরশিদের মত অর্থনীতিবীদ, উমার চাপড়ার মত ব্যাংকিং ইঞ্জিনিয়ার রা লুফে নেন। হয়ে ওঠে সারা দুনিয়ায় নাম করা এক দর্শন “ইসলামি অর্থনীতি”। আজ তাই বিশ্বের সমগ্র নামকরা প্রতিষ্ঠানে মাওলানা মাওদূদীর এই চিন্তা ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়, ক্লাসে ক্লাসে, গবেষণার মাজলিসে, গ্রন্থে প্রবন্ধে কিংবা ছাত্র ছাত্রীদের কাকলিতে।
.
৬। ইসলামি সাংস্কৃতিক জীবন হলো ইসলামের এক বিশালায়তন। তিনি বুঝেছিলেন এই যায়গায় আমাদের দূর্বলতা আজ আমাদের শেষ যায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। নিজেই ছিলেন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, সেরা সাহিত্য সেবী, মনোমুগ্ধকর ভাষা শৈলীর জন্মদাতা। সে সাথে গড়ে তুলে ছিলেন দারুত তারজামাহ। দারুত তাসনীফ। পাশে তৈরী করেছিলেন লেখক বাহিনী, যারা আজো ভূভারতের সেরা লেখক। আপনি মানহাজ আল ইঙ্কিলাব আলইসলামি বা ইসলামি সমাজ বিপ্লবের ধারা পড়েন, আর ইমাম নাদাওয়ীর মাযা খাসিরার মাঝে “মহানবীর বানানো সমাজ নির্মানের কলা কৌশল” টা পড়েন। দেখবেন কি সুন্দর চিন্তার ঐক্য। তাদাব্বুরে কুরআনের লেখকের মাওলানা ইসলাহীর তানক্বীদাত পড়েন দেখবেন কত মিল তাদের। ইসরার আহমাদের বক্তৃতার ভান্ডার দেখেন, তিনি কি মওদূদীর চিন্তা থেকে এক ইঞ্চি বের হয়েছেন। তিনি ঐ সব লেখকদের দিয়ে ইসলামি সাহিত্যের যে ভান্ডার আজ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে কম দেখা যায়। গল্প কবিতার অংগনে মানুষের পথ দেখিয়েছেন। নসীম হিজাযীর বই গুলো আজ মওদূদীর অনুপ্রেরণায় ঋদ্ধ। তিনি রেডিও টিভি, সিনেমা নাটক ইত্যাদির ব্যাপারে এমন সময় পজিটিভ কথা বলে গেছেন যখন এই কারণেই অনেক উলামা তাকে বিভ্রান্ত আখ্যা দেয়। অথচ সেই সব আলিমগণের ছাত্ররা আজ এর সবের পেছনে সময় দেয়া দ্বীনের ফরয মনে করছেন।
.
৭। ইসলামি দর্শনের ব্যাপ্তি সৃষ্টিতে মওদূদীর অবদান আজ সূর্যের আলোর মত দেদিপ্যমান। তিনি আক্বাইদের বিভিন্ন দার্শনিকতার বিরোধিতা করেছেন। এক্ষেত্রে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যার কথা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। ইমাম গাযযালীর নানা দর্শনের সমালোচনা করেছেন। তার আলোচনা গুলো হাদীস ভিত্তিক না হয়ে ইলমুল কালামের গন্ডিতে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ফিক্বহের বিভিন্ন বিষয়কে সেকেলে ভাব ধারা থেকে আধুনিকায়নের কথা বলেছেন। তিনি চার মাযহাবের ভেতরেই আবদ্ধ না থেকে ইসলামের মৌলিক মাসাদির গুলো থেকে দৃষ্টি ভংগি নিয়ে আধুনিক গবেষণার ইকবালীয় বা হাসানুল বান্না দর্শনকে সঠিক মনে করেছেন। আধুনিক যুগ জিজ্ঞাসার জবাবে তার উত্তর গুলো হতো খুব ই ইজতিহাদ ভিত্তিক। যদিও মৌলিক জ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেকটা হোঁচট খেতে হত বলে একেকটা বিষয়ে তাকে অনেক চেইঞ্জ আনতে হতো। হাদীস এর মতন ও সনদ দিরায়াতের ক্ষেত্রে আমি বলবো আপনি নাসিরুদ্দীন আলবানীর হিজাবুল মারআহ আলমুসলিমাহ বই টা পড়ুন। বিশেষ করে মওদূদীর সাথে তার আদান প্রদান করা চিঠি গুলো দেখলে বুঝবেন আলবানী সাহেব কে তিনি কি উপহার দিয়েছেন। এটাও ঠিক আলবানী সাহেব ও তার অনেক বিষয়ে চোখ খুলে দিয়েছেন। তিনি কুরআন স্টাডীর ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিক নিয়ে এসেছেন যা বুঝার মত। তাফহীমের ভূমিকা, তার আলোকে লেখা খুররাম মুরাদের কুরআন বুঝার সহায়িকা খুব ই দিগন্তভেদী।
.
৮। ইসলামের বিভিন্ন মতবাদের ঠিকাদারদের ব্যাপারে তার অর্গল ভাঙ্গা ব্যাখ্যা মানুষকে পথ দেখায়। আজো তার কাদিয়ানীয়্যাতের সমালোচনা, আল হিজাব এ উলংগপনার বিরুদ্ধে হুংকার, দ্বিজাতি তত্বের ব্যাখ্যা তার আপোষকামিতার মনে পদাঘাত, হাদীস বিরোধিদের সামনে সমালোচনার পাহাড় ছিলো আসলে উপভোগ্য। সূফীদের কারসাযির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সিপাহসালার, নব্য জাহেরিদের বিপক্ষে ছিলো তার নগ্ন অবস্থান, এবং আধুনিক মু’তাযিলাদের নিয়ে তিনি ইদুর বিড়াল খেলতেন। আমাদের দেশের বরেণ্য মাওলানা আযীযুর রহমান নেসারাবাদী সাহেব তাকে বলতেনঃ মওদূদী ছিলো ইবনে তাইমিয়্যার নতূন ভার্সন।রাজনৈতিক প্রজ্ঞাতে আমি মওদূদীকে খুব বলিষ্ঠ মনে করিনা। আমি কখনো তাকে মাওলানা আবুল কালাম আযাদের সারিতে তাকে দেখিনা। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন সব্যসাচী লেখক। ইসলামের ইতিহাসে যিনিই এই রকম ধারায় চলেছেন তার ভুল ও কম হয়নি। ইমাম সুয়ূতি সম্পর্কে ইমাম সাখাওয়ীর আলোচনা শুনলে সত্তরবার ইস্তেগফার পড়া লাগে।
কিন্তু আমাদের যুগে কি যে হয়েছে, স্কলারদের ভুল হলেই তাকে দেয়া হয় কুফরী, নিফাক্বী ও নাসার ইয়াহুদীদের দালাল অভিধা।
#লিখেছেনঃ প্রফেসর ড.আব্দুস সালাম আজাদী







Tuesday 11 February 2020

পেকুয়ায় ডাকাতের গুলিতে নিহত - ১

পেকুয়ার শিলখালীতে  ডাকাতের গুলিতে নুরুন্নবী নামক জৈনক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বাঁশখালী রোডে চলবে এস আলম সার্ভিস

দিনের শুরুতেই বাঁশখালী বাসীদের জন্য নিয়ে আসছি বহু প্রতিক্ষিত একটি আনন্দের সংবাদ। আমরা আগেও বলেছি বাঁশখালীতে এস.আলম সার্ভিস চালু হবে তবে তা সময়ের ব্যাপার এবার আপনাদের ধৈর্যের পালা শেষ করে খুব শীঘ্রই এস.আলম সার্ভিস চট্টগ্রাম(সিনেমা প্যালেস)-বাঁশখালী রুটে সার্ভিস চালু হচ্ছে ইনশাল্লাহ।বিভিন্ন বডি গ্যারেজে আমাদের প্রায় ৪৫ ইউনিটের কাজ হচ্ছে, খুব শীঘ্রই সার্ভিস চালু করার চেষ্টা চলছে।

Tuesday 4 February 2020

হাটহাজারীতে নকল ওষুধের দোকানে ইউএনওর আভিযান

।।স্কয়ারের সেকলো বনাম ময়দা দিয়া বানানো সেকলো।।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে দুই ফার্মেসি থেকে দুই ধরনের সেকলো কিনে বাসায় নিয়ে এসে পরীক্ষা করলাম।
আসল সেকলোর দানাগুলো ছোটো ছোটো। ক্যাপসুলের গায়ে স্কয়ারটি লিখা।দানাগুলো তিতকুটে ধরনের স্বাদ।
নকল সেকলোর দানাগুলো হোমিওপ্যাথিক দানার সাইজ।ক্যাপসুলের গায়ে স্কয়ার লিখা নাই।দানাগুলোর স্বাদ ময়দার মতো।
ফার্মেসী তে অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত ২২৯ পাতা সেকলোর মধ্যে ২২৪ পাতা এক ধরনের (নকল)আর ৫ পাতা সেকলো অন্যধরনের (আসল)।
গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার সরকারি ।


Wednesday 30 October 2019

স্ত্রীর পাশে থাকতে চান তামিম

আপনারা জানেন, পারিবারিক কারণে ভারত সফর থেকে আমি বিরতি নিয়েছি। এই সিরিজে খেলতে না পেরে আমি নিজেও ভীষণ হতাশ।

বাংলাদেশ প্রথমবার ভারতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও আমাদের প্রথম ম্যাচ এই সফরে। এই সফর ও নতুন মৌসুমের জন্য আমি খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। দেশের বাইরে গিয়ে আলাদা করে এক মাস ফিটনেস ট্রেনিং করেছি। দেশে ফিরে ব্যাটিং অনুশীলন করেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে দারুণ প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু তার পরও সফরে যেতে পারছি না, কারণ কখনও কখনও পরিবার ও আপনজনের পাশে ক্রিকেট গৌণ হয়ে ওঠে।
আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় দিন গুনছি। আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কারণে আমাদের ধারণার চেয়ে একটু বেশি সময় ওকে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আমার মনে হয়েছে, এই সময়টায় ওর পাশে আমার থাকা উচিত। এজন্যই ছুটি নিতে হয়েছে। এমনিতেই পরিবার থেকে অনেকটা সময় আমরা দূরে থাকি, তাদেরকে প্রাপ্য সময়টুকু দিতে পারি না। আমাদের পরিবারের সদস্যারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। অন্য অনেক সময় না পারলেও জীবনের এই সময়গুলোতে অন্তত পরিবার আমাকে পাশে চাইতেই পারে।
আমি আমার দলকে মিস করব, ক্রিকেট মাঠকে মিস করব। তবে জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্ত্রী যেন আমাকে মিস না করে, সেটুকু নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাইছি। ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই আবার আমাকে মাঠে দেখতে পাবেন।
কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ও সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

তিন লাখ টাকা সহায়তা পেলে বাঁচতে পারেন পেকুয়ার ফাতেমা বেগম

তিন লাখ টাকা সহায়তা পেলে বাঁচতে পারেন পেকুয়ার ফাতেমা বেগম
-------------
পেকুয়া সরকারি মডেল জি.এম.সি ইনস্টিটিউশনের
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ২০১৬ ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হাছান উদ্দিন রিমনের মা'কে বাচাঁতে সবাই এগিয়ে আসুন।
পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজীবন পাড়া এলাকার হারুনুর রশিদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০)। তিন সন্তানের জননী তিনি। কক্সবাজারের হ্যাচারীতে দশ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন তার স্বামী হারুনুর রশিদ।

স্বামীর অল্প এ আয়ে টানাপোড়েনের সংসারে তাদের সন্তানদের পড়াশোনা করানো ছিল এক প্রকার বিলাসিতা। তখনি গৃহিণী ফাতেমা বেগম নেমে পড়েন জীবনযুদ্ধে। ঘরে বসে দর্জির কাজ করে হাল ধরেন সংসারের। পড়াশোনা চালিয়ে নেন তিন সন্তানের। সংসারের সব কাজ সেরে যা সময় হাতে থাকতো, বসে পড়তেন সেলাই মেশিন নিয়ে। কারণ সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে অদম্য ছিলেন ফাতেমা বেগম। যেকোনো মূল্যে তাদের সুশিক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন মহীয়সী এ নারী।
তবে, শত পরিশ্রম হলেও দিনশেষে একটি স্বস্তি ছিল তার। নিজের সন্তানরা পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে একদিন দুঃখ ঘোচাবে তাদের। কিন্তু অভাগা এই মা কি জানতেন, তার জন্য আরো কঠিন সংগ্রাম বাকি রেখেছিলেন সৃষ্টিকর্তা !
বর্তমানে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারের সাথে লড়ছেন তিনি। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে নানা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তিনি। ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্ত করেন ডাক্তার। তখনি মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে সংগ্রামী এ মায়ের।
এদিকে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে হ্যাচারীর চাকরি ছেড়ে নিজের এলাকায় এখন টমটম অটোরিকশা চালাচ্ছেন স্বামী হারুনুর রশিদ। স্ত্রীর চিকিৎসা জন্য ইতিমধ্যে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার।
বর্তমানে তাদের বড় ছেলে হাসান উদ্দিন রিমন পড়াশোনা করেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইউষ্টিটিউটে। কম্পিউটার ইঞ্জিয়ারিংয়ের ষষ্ঠ সেমিস্টারে ছাত্র সে। মেয়ে রাজিয়া সোলতানা রিপন পড়ছেন চকরিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষে ও ছোট ছেলে হোসাইন উদ্দিন পড়েন ফাঁশিয়াখালী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায়। সে এবারে জেডিসি পরীক্ষা দেবে।
বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দীন মিয়া বলেন, সহায় সম্পত্তি যা ছিল সবকিছুর বিনিময়ে এতদিন চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন তারা। হারুনুর রশিদ স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন একলাখ টাকারও বেশি অর্থ। টাকার অভাবে ফাতেমা বেগমের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। কিন্তু জীবন সংগ্রামের কঠিন এ যুদ্ধে কোনভাবে হারতে চাননি ফাতেমা বেগম। সারাজীবন দারিদ্রতার সাথে লড়ে গেছে সে।
স্বামী হারুনুর রশিদ বলেন, আমার স্ত্রীর চিকিৎসা জন্য ইতিমধ্যে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর অধিকাংশ ধারদেনা। বর্তমানে তার ওষুধ, পরীক্ষা ও কেমোথেরাপির জন্য প্রতিমাসে প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ৩০হাজার টাকা। আমি দিনমজুর মানুষ। টমটম অটোরিকশা চালিয়ে এত টাকা জোগাড় করতে আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ডাক্তার বলেছেন অপারেশনের মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু এ অপারেশনের জন্য প্রয়োজন তিন লাখ টাকা। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি এগিয়ে আসেন আমার স্ত্রীকে হয়তো বাঁচানো যাবে। আমাদের তিনটি সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে তাদের মাকে বাঁচতে এগিয়ে আসার জন্য সবার কাছে করজোড় মিনতি জানাচ্ছি।
আমি বিশেষ করে অনুরোধ জানাচ্ছি পেকুয়া সরকারি মডেল জি.এম.সি ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন ২০১৬ ব্যাচের আমার সকল বন্ধুবান্ধবকে।
আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা-
ফাতেমা বেগম,
বিকাশ পারসোনাল- ০১৮১৯০৩৩৮৫২
ব্যাংক হিসাব নংঃ-
ফাতেমা বেগম অ/ঈ- ০১৯২১২২০০০০৫২৩৪
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, পেকুয়া শাখা।
চট্রগ্রাম শহরে বা চট্রগ্রাম শহরের বাহিরে যারা অবস্হানরত আছেন তারা রোগীর বড় ছেলে
হাছান উদ্দিন রিমনের কাছে পাঠাই দিতে পারেন।
বিকাশ পারসোনাল :01823143454 (রোগীর বড় ছেলে)

Sunday 20 October 2019

ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত - ২

ভোলার বোরহান উদ্দীন উপজেলায় রাসূল (সাঃ) কে কূটুক্তির প্রতিবাদে  তৈহিদী জনতার  মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত ৫, আহত শতাধিক। বিস্তারিত আসছে...

Saturday 19 October 2019

সানোফি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ঔষধ প্রস্তুতকারক কম্পানী সানোফি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে!! এর আগে কিন্তু গ্ল্যাক্সো কোম্পানি চলে গেছে একোই অভিযোগে!!

সানোফি জানাচ্ছে, এ দেশের বিপণনব্যবস্থা অনৈতিক। ওষুধ কম্পানিগুলোকে তাদের ওষুধ চালানোর জন্য ডাক্তারদের বড় অঙ্কের কমিশন ও উপহারসামগ্রী দিতে হয়। তবেই শুধু তাঁরা রোগীদের ওই কম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। কিন্তু এ ধরনের মার্কেটিং সানোফির বৈশ্বিক নীতি অনুমোদন করে না।
ডাক্তারদের ঘুষ দেয়া ছাড়া এই দেশে মার্কেটিং হয়না।
তাই তারা বাংলাদেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে নিজেদের শাখা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান সানোফি। এর কারণ হিসেবে এ দেশের অনৈতিক বিপণনব্যবস্থাকে দায়ী করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সানোফির কর্মকর্তারা জানান, এ দেশের বিপণনব্যবস্থা অনৈতিক। ওষুধ কম্পানিগুলোকে তাদের ওষুধ চালানোর জন্য ডাক্তারদের বড় অঙ্কের কমিশন ও উপহারসামগ্রী দিতে হয়। তবেই শুধু তাঁরা রোগীদের ওই কম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। কিন্তু এ ধরনের মার্কেটিং সানোফির বৈশ্বিক নীতি অনুমোদন করে না। অথচ সানোফি যদি এ ধরনের ঘুষ না দেয় তাহলে উদ্ভাবন ও মার্কেটিং কোনোটিতেই ভালো করতে পারবে না।
সানোফি বাংলাদেশের এমডি মুইন উদ্দিন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেসব দেশে সানোফি কাজ করে সেসব দেশে আমরা নিয়মিতভাবেই আমাদের ক্রেতাদের কিভাবে সর্বোত্তম উপায়ে সেবা দিতে পারি সে বিষয়টি মূল্যায়ন করি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এ মূল্যায়নে ভিন্ন চিত্র উঠে আসছে।’
জানা যায়, সম্প্রতি কম্পানিটির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুইন উদ্দিন মজুমদার ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা চার্লস বিলার্ড এক চিঠির মাধ্যমে কম্পানির বাংলাদেশ ত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তবে কম্পানির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর ফারহানা তোফায়েল গতকাল রবিবার রাতে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অফিস গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা এখনো আমাদের জানানো হয়নি। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে কম্পানির কাজের মডেল পরিবর্তিত হয়। সে রকম বাংলাদেশেও কোনো কোনো মডেল পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা চলছে।’
ফরাসি এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে ১৯৫৮ সাল থেকে। সানোফি বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট শেয়ারের মধ্যে ৪৫.৩৬ শতাংশ মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে পরিচালিত এটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। বাকি অংশের মালিকানায় রয়েছে সানোফি। এ দেশে তাদের এক হাজার কর্মী রয়েছে। ওষুধ উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে সানোফি, এমন স্বীকৃতি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ঢাকার টঙ্গীতে প্রতিষ্ঠানটির কারখানা রয়েছে।
এদিকে সানোফির বাংলাদেশ ত্যাগের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন এর কর্মীরা। ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, ‘আমরা নানাজন থেকে নানা কথা শুনতে পাচ্ছি। ফলে আমাদের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমরা অনিশ্চয়তার সময় পার করছি। যদিও কম্পানি জানিয়েছে, কর্মীরা তাদের চাকরি হারাবে না। কিন্তু অন্তরালে সিনিয়র কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে কর্মীদের ক্ষতিপূরণের একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে।’

সিলেটে আলেম তৈরির কর্মশালা

বাংলাদেশ মাদরাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা সিলেট এর উদ্যোগে যুগোপযোগী আলেম তৈরির কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

শাহজালাল জামেয়া পরিষদের সভাপতি শরীফ মাহমুদের পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হজরত মাওলানা আবু তায়্যিব সৎপুরী। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমাইদী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুল্লাহ বাহার,ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাফিজ জাকির হুসাইন ও মাওলানা মুফতি আলী হায়দার। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগরী পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, কবির আহমদ ও মুজাহিদুর রহমান।

Tuesday 8 October 2019

শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পুরস্কার পেলেন বদিউল আলম

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বদিউল আলম সমাজ সেবাই বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা স্মারক লাভ করেন।

Thursday 3 October 2019

চলুন জেনে নিই একজন সফল উদ্যোক্তা সম্পর্কে

দাঁড়ি-টুপিওয়ালা ভদ্রলোকটিকে চেনেন নাকি?


হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। ইনিই মাহমুদুল হাসান সোহাগ। বাংলাদেশের লক্ষ তরুনের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) থেকে EEE তে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করে যিনি হয়েছেন একাধারে গবেষক ও সফল উদ্যোক্তা।

উদ্ভাস উন্মেষ শিক্ষা পরিবারের সফল প্রতিষ্ঠাতা তিনি। প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বুকশপ rokomari.com এর। বাংলাদেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক স্কুল অন্যরকম পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা তিনিই; যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আয়মান সাদিক তৈরি করেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন স্কুল 'টেন মিনিট স্কুল'।

তিনি একাধারে প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক পাই ল্যাবস বাংলাদেশ লিঃ, টেকশপ বাংলাদেশ লিঃ, অন্যরকম সফটওয়্যার লিঃ, অন্যরকম প্রকাশনী লিঃ,অন্যরকম সল্যুশনস লিঃ, অন্যরকম ওয়েব সার্ভিসেস লিঃ, অন্যরকম ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিঃ এর মতো সফল প্রতিষ্ঠানগুলো্রক


তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড-এর একাডেমিক কাউন্সিলরও ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশে প্রথম ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন(EVM) তৈরি করেছেন। যাঁর ঝুলিতে আছে দেশ-বিদেশের অনেকগুলো পুরস্কার ও সম্মাননাও।

Monday 30 September 2019

জাতিসংঘে ইমরান খানের ভাষনের পূর্ণাঙ্গ বঙ্গানুবাদ

জাতিসংঘে ইমরান খানের ভাষনের পূর্ণাঙ্গ বঙ্গানুবাদ
- অনুবাদকঃ মুহাম্মদ অহিদুল ইসলাম।
----------------------------------------------------------------------------
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ইয়াকানাবুদু ওয়া ইয়া কানাসতায়ীন
মি. প্রেসিডেন্ট। সম্মানিত সেক্রেটারি। ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।


আজ আমি বিশ্ব নেতাদের এই ফোরামে আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে সম্মানিত বোধ করছি যেখানে আমাদের বিশ্বের সমস্যাসমূহ আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
আমি অনেক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাই, তবে আজ শুধু চারটি নিয়ে আলোচনা করি।
এবং বিশেষকরে আমার দেশ কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সত্ত্বেও আমি এই ফোরামে এসেছি । আমি হয়তো আসতামনা কিন্তু খুবই জরুরী সমস্যাগুলো বিশ্ববাসীর অবশ্যই জানা প্রয়োজন।
প্রথমেই আমি শুরু করতে চাই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে। অনেক নেতা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন, কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট আমি তারা প্রকৃতপক্ষে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করছেন না। অনেক বিশ্বনেতা যারা এই বিষয়ে কিছু করতে চান তারাও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন না। আমাদের অনেক আইডিয়া আছে। কিন্তু বলা হয়ে থাকে, অর্থায়ন ছাড়া আইডিয়া শুধুমাত্র অবাস্তব কল্পনা।
পাকিস্তান, আমি আমার নিজ দেশের সম্পর্কে আপনাদের বলছি। পাকিস্তান হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত বিশ্বের প্রথম দশটি দেশের একটি। আমরা আমাদের নদীসমূহের উপর নির্ভর করি। পাকিস্তান মূলত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের ৮০ ভাগ পানি আসে হিমবাহ (তুষারস্রোত) হতে, এসব হিমবাহ শুধুমাত্র পাকিস্তানের অংশ হতে নয় এমনকি ভারত হতেও, কারাকোরাম হিমবাহ, হিমালয় ও হিন্দুকুশ হিমবাহ হতে এবং এগুলো প্রবাহিত হয় বিপদজনক গতিতে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের পর্বতসমূহে ৫০০০ হিমবাহ চিহ্নিত করেছি। আমরা সেখানে আশঙ্কা করছি বড় আকারের আকস্মিক বিপর্যয়ের।
কেপি, পাকিস্তানের একটি রাজ্য যেখানে আমরা ৫ বছরে কয়েক বিলিয়ন গাছ লাগিয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ১০ বিলিয়ন গাছ রোপন করা। কিন্তু একটি রাষ্ট্র একা কিছু করতে পারে না। এখানে প্রয়োজন বিশ্বের সমন্বিত উদ্যোগ।
তবে আমি আশাবাদী যে, সর্বশক্তিমান আমাদের বড় একটি শক্তি দান করেছেন - সেটা হচ্ছে মানবসম্পদ। আমরা বড় ও মহৎ কিছু করতে পারি। এবং এখানে আমি আশাবাদী বৃহৎ ও ভালো উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘই নেতৃত্ব দিবে। ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই চাপ দিতে হবে। গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য ধনী দেশগুলোরই মূলত দায় বেশি। সুতরাং আমি অনুধাবন করি এই বিষয়ে জাতিসংঘই নেতৃত্ব দিবে।
আমি এখন ২য় যে ইস্যুটি নিয়ে বলতে চাই তা খুবই জটিল একটি বিষয়।
মি.প্রেসিডেন্ট, প্রত্যেক বছর বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা দরিদ্র দেশগুলো থেকে ধনী দেশগুলোতে প্রাচার হয়ে যাচ্ছে। মুদ্রা পাচার, কর ফাঁকি, পশ্চিমা দেশে বিলাসবহুল সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা এটা করছে। মি. প্রেসিডেন্ট, উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য এটা ধ্বংসাত্মক। এর ফলে ক্রমশ ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর পার্থক্য আরো বাড়ছে। মাদক এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের মতো মানি লন্ডারিংকে একইভাবে ট্রিট করা হচ্ছে না। বর্তমানে দরিদ্র দেশগুলোর সম্পদ তাদের এলিটরা লুট করে নিচ্ছে।
যখন আমি এক বছর পূর্বে আমার দেশের দায়িত্ব নিলাম, আমি দেখলাম গত ১০ বছরে আমাদের দেনার পরিমাণ চারগুণ বেড়েছে। সারা বছর আমরা যত রাজস্ব সংগ্রহ করি তার অর্ধেক ব্যয় হয়ে যায় দেনার দায় মিটাতে।
কিভাবে আমরা আমার ২২০ মিলিয়ন জনসংখ্যার ব্যয় নির্বাহ করবো যখন দেনা মিটাতে অর্ধেক অর্থ ব্যয় হয়ে যায়? আমরা দেখতে পাই, দুর্নীতিবাজ নেতাদের দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং এর সম্পত্তি পশ্চিমা পুঁজিতে বিনিয়োগকৃত। এটা উদ্ধার করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন।
লুট করা অর্থ উদ্ধার করা গেলে আমরা মানব উন্নয়নে সেটা ব্যয় করতে পারতাম। কিন্তু আইন এসব অপরাধীদের রক্ষা করছে। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আইনজীবি নিয়োগ দেয়ার অর্থ আমাদের নেই।
আমাদের ধনী দেশগুলো হতে সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট এটা খুব জটিল।
ধনী দেশগুলির অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। দরিদ্র দেশগুলো হতো দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থের পাচার তারা অনুমোদন দিতে পারে না। কিভাবে দরিদ্র দেশগুলো জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (SDG) অর্জন করবে যেখানে মানব উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ সহজেই আমাদের দেশসমূহ হতে পাচার হয়ে যাচ্ছে?
ক্ষমতাশীল এলিটদের বিদেশী ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রাচার করতে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। আমি বুঝতে পারি না, কেন ট্যাক্স হেভেন অনুমোদিত। (ট্যাক্স হেভেন হলো এমন দেশে যারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের খুবই কম ট্যাক্সে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করে)। মি. প্রেসিডেন্ট, কেন এই ট্যাক্স হেভেন? কেন এটা অনুমোদিত? কেন গোপন হিসাব?
বিশ্বে পরিবর্তন হচ্ছে। গরীব আরো গরীব হচ্ছে এবং ধনী হচ্ছে আরো ধনী। এটা বড় একটি সংকট তৈরি করবে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিকে অবশ্যই এসব লুটপাট বন্ধ করার একটি উপায় বের করতে হবে।
আমার তৃতীয় পয়েন্টটি হচ্ছে ইসলামোফোবিয়া। বিশ্বে ১.৩ বিলিয়ন মুসলমানের বাস। মিলিয়ন মিলিয়ন মুসলমান ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছে। ৯/১১ এর পর হতে ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বিপদজনক। এটি বিভাজন সৃষ্টি করছে।
মুসলিম নারীর হিজাব পরিধান করাকে সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। হিজাবকে দেখা হচ্ছে অস্ত্র হিসেবে। কিছু দেশে নারীর পোশাক খোলার স্বাধীনতা রয়েছে কিন্তু পোশাক পরিধান করার স্বাধীনতা নেই! এটা কেন ঘটছে? ইসলাম ফোবিয়ার কারণে এমনটা ঘটছে। এটা কখন শুরু হয়েছে? ৯/১১ এর পর ইসলাম ফোবিয়া শুরু হয়েছে। কেন? কারণ, কিছু পশ্চিমা নেতা সন্ত্রাসবাদ আর ইসলামকে এক করে দেখেন। যেমন : ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, র‌্যাডিকাল ইসলাম (মৌলবাদী ইসলাম)। র‌্যাডিকাল ইসলাম কী? ইসলাম তো কেবল একটাই। আমরা তো কেবল হযরত মুহাম্মদ সা.-এর ইসলামের অনুসরণ করি। এ ছাড়া আর কোন ইসলাম নেই। ইসলামি সন্ত্রাসবাদ ও র‌্যাডিকাল বলে তারা মানু্ষের কাছে কী মেসেজ দিতে চায়? কিভাবে তারা মডারেট মুসলিম আর র‌্যাডিকেল মুসলিম এর মাঝে পার্থক্য করে? সন্ত্রাসের সাথে কোনো ধর্মেরই কোনো সম্পর্ক নেই।
বিদেশ ভ্রমণ এর সময় আমরা মুসলমানরা ইসলামোফোবিয়ার শিকার হই এবং ইউরোপিয়ান দেশসমূহে মুসলিম কমিউনিটিকে একঘরে করে রাখার প্রবণতা দেখা হচ্ছে। এসব প্রান্তিকতাই জন্ম দিচ্ছে চরমপন্থার।
আমাদের অবশ্যই এই ইস্যুটি স্পষ্ট করতে হবে। ইসলাম র‌্যাডিকাল নয়, তেমনি ইহুদি, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মও র‌্যাডিকাল নয়। কোনো ধর্মই র‌্যাডিকালিজম (মৌলবাদ) প্রচার করে না। সকল ধর্মের ভিত্তি হলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ন্যায়পরায়ণতা, যা মানুষকে পশুর থেকে আলাদা করে।
দুঃখজনকভাবে মুসলিম নেতারা র‌্যাডিকালিজম নিয়ে কথা বলতে ভয় পান। কারণ তারা মডারেট হতে চান। মডারেট হওয়ার জন্য অনেকে পশ্চিমা পোশাক পরেন এবং এমনকি ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও মডারেট হওয়ার জন্য ইংরেজিতে কথা বলেন।
সুইসাইড এট্যাককে ইসলামের সাথে একীভূত করে দেখা হয়, অথচ ৯/১১ এর আগে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সুইসাইড এট্যাক করেছিল তামিল টাইগাররা। তারা হিন্দু। এজন্য কেউ হিন্দু ধর্মকে দোষারোপ করে না। হিন্দু ধর্মের সাথে সুইসাইড এটাককে মিলানো হয় না।
আমি পশ্চিমে ক্রিকেট খেলেছি, অনেক সময় ব্যয় করেছি এখানে এবং এখানকার মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে আমার জানা আছে। তাদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচলিত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইসলামোফোবিয়া। ১৯৮৯ সালে আমাদের রাসূল (সাঃ) কে অপবাদ দিয়ে, উপহাস করে অবমাননকার বই প্রকাশ করা হয়। এবং তখন মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। ওয়েস্টার্ন দেশগুলো সমস্যা কোথায় বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের চোখে ইসলাম একটি অসহিষ্ঞু ধর্ম। এবং প্রতি ২-৩ বৎসর পর পর কেউ একজন আমাদের নবীকে (সাঃ) অবমাননা করে, মুসলমানরা প্রতিক্রিয়া দেখায় আর পশ্চিমে মুসলমানরা অসহিষ্ঞু হিসেবে পরিচিত পায়। এজন্য পশ্চিমের গুটিকয়েক লোক দায়ী যাদের আচরণ মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করে। কিন্তু পশ্চিমের অধিকাংশ লোক সেটা বুঝতে পারে না।
মুসলিম নেতৃবৃন্দের ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন যে, হযরত মুহাম্মদ সা. আমাদের কী বার্তা দিয়েছেন? নবী (সা.) স্বর্গীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের সাক্ষ্যদাতা। পবিত্র কুরআন হচ্ছে সেই মহাগ্রন্থ যা মুসলমানদের জীবনের চলার পথনির্দেশনা। কুরআন আমাদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে নবী (সাঃ) ছিলেন জীবন্ত উদাহরণ। সুতরাং তিনিই ছিলেন আদর্শ যাঁকে আমরা অনুসরণ করতে পারি। হযরত মুহাম্মদ সা. মদিনায় আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই রাষ্ট্রের প্রকৃতি কেমন ছিল? ইসলামের একটি বিষয় আমাকে খুব আন্দোলিত করে। অভিযোগ করা হয় ইসলাম নারী ও সংখ্যালঘু বিরোধী, কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্রের সূচনার প্রথম দিনই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ইসলামি রাষ্ট্র দুর্বল, বিধবা, এতিম, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, দরিদ্রদের জন্য ট্যাক্স সংরক্ষণ করেছিল। রাষ্ট্র ঘোষণা করেচিল সকল আদম সন্তান সমান তাদের গায়ের রং যাই হোক না কেন। মুহাম্মাদ সা. ঘোষণা করেছিলেন দাসদের সাথে পরিবারের সদস্যদের মতো আচরণ করতে। ফলে মুসলিম বিশ্বে এমন কিছু ঘটেছিল, যা অন্যান্য সভ্যতায় ঘটেনি। মুসলিম বিশ্বে দাস রাজ বংশের আবির্ভাব ঘটেছিল। দাসরা রাজা হয়েছিলেন। মামলুক দাসরা মিশর শাসন করেছিল। ভারতে দাসরা শাসন করেছিল।
সংখ্যালঘুর প্রশ্নে সকল ধর্মের উপসনালয়কে নিরাপত্তা দেয়া ইসলাম পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখে। ইসলাম ঘোষণা করেছে সকল মানুষ সমান। ইসলামের চতূর্থ খলিফা যিনি ছিলেন তখন মদিনা রাষ্ট্রের প্রধান, তিনি একজন ইহুদির বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে হেরে গিয়েছিলেন। আইনের উধে্‌র্ব কেউ নয়।
মি. প্রেসিডেন্ট, যদি কোনো মুসলিম কমিউনিটি সংখ্যালঘুর উপর অন্যায় করে তবে সেটা আমাদের ইসলামের শিক্ষার বিপরীত। একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সবাইকে বুঝতে হবে যে, রাসূল সা. আমাদের হৃদয়ে সমাসীন। যখন তাকে অবমাননা করা হয়, তখন আমাদের হৃদয়ে আঘাত লাগে। আর প্রত্যেক ব্যক্তিই জানেন হৃদয়ের আঘাত খুবই ভয়ানক। তাই যখন রাসূল সা.-কে অবমাননা করা হয় তখন মুসলিমরা প্রতিক্রিয়া দেখায়, কিন্তু পশ্চিমারা এটা বুঝতে পারে না।
আমি টিনএজ বয়সে ইংল্যান্ড থাকতে দেখেছি যীশুখৃস্টকে নিয়ে কমেডি ছবি নির্মাণ করতে। এটা আমাদের মুসলিম সমাজে অকল্পনীয় বিষয়। যে সকল বিষয় অন্য মানুষদের হৃদয়ে আঘাত করে সেসব আমাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
পশ্চিমা সমাজে হলোকাস্টকে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এটি ইহুদী কমিউনিটিকে আঘাত করেছে। আমরাও একই শ্রদ্ধাবোধ প্রত্যাশা করি। আপনার বাকস্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে আমাদের পবিত্র নবীকে (সাঃ) অবমাননা করে আমাদের আঘাত করবেন না। এটাই আমরা সবাইকে বলতে চাই।
এবার আমার চতূর্থ পয়েন্ট। মি. প্রেসিডেন্ট, এটাই সবচাইতে জটিল বিষয় এবং বিশেষ করে এটার জন্যই আমার এখানে আসা। হ্যাঁ, এটি হচ্ছে কাশ্মীরে যা ঘটছে সে সম্পর্কে।
ক্ষমতায় আসার পর আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল পাকিস্তান হবে এমন দেশ যে শান্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে।
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যোগ দেয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান তার সময়ের সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করেছে। আমাদের ৭০,০০০ লোক যুদ্ধে মারা গিয়েছে, আমাদের অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার।
১৯৮০‘র দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে পাকিস্তান পশ্চিমাদের সাথে কাজ করে। গেরিলা যোদ্ধা নামে খ্যাত মুজাহিদ বাহিনীকে পশ্চিমারা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করেছিল এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সোভিয়েত তাদেরকে সন্ত্রাসী বলত, যেখানে আমেরিকানরা তাদের বলতো মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৮৯ সালে সোভিয়েত আফগানিস্তান থেকে পলায়ন করে। আমেরিকা আফগানিস্তান ত্যাগ করে আর পাকিস্তানও মুজাহিদ গ্রুপকে ত্যাগ করে।
অতঃপর ৯/১১ আসলো। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তান যক্তরাষ্ট্রের সাথে সংযুক্ত হলো। কিন্তু আমরা এই যুদ্ধের জড়িত হইনি। কেন? কারণ পশ্চিমারা ও আমরা তাদের বিদেশী দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদে তথা স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু এবার আমেরিকা আফগান দখল করে বসে আর প্রত্যাশা করে, আমরা মুজাহিদদের বলব, তোমারা সন্ত্রাসী, তোমরা স্বাধীনতা সংগ্রামী না। এটা হাস্যকর। তাই পাকিস্তান নিরপেক্ষ থাকতে চেয়েছে, ধ্বংসলীলায় জড়ায়নি।
৭০,০০০ পাকিস্তানী নিহত হলো সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে অথচ ৯/১১ এর সাথে কোনো পাকিস্তানী জড়িত ছিলো না। তালেবান, আল কায়েদা আফগানিস্তানে তৈরি হয়েছে, পাকিস্তানে নয়। কিন্তু ৭০,০০০ পাকিস্তানী নিহত হয়েছে!
আমি জানি যে ভারত বলে আসছে আমাদের জঙ্গি সংগঠন আছে কিন্তু আমি জাতিসংঘ পর্যবেক্ষককে এসে দেখার আমন্ত্রণ জানাই। পাকিস্তানে কোনো জঙ্গি গ্রুপ থাকবে না এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।
ভারত প্রসঙ্গে বলি। ভারতের সাথে আমার উষ্ঞ সম্পর্কের কথা বলি। উপমহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটের সুবাদে ভারতে আমার অনেক ভক্ত অনুরাগী রয়েছে, ভারতে আমার অনেক প্রিয় বন্ধু রয়েছে। আমার ভারত ভ্রমণ করতে সবসময় পছন্দ করি।
সুতরাং আমার দল ক্ষমতায় আসার পর আমার প্রথম উদ্যোগ ছিল ভারতের সাথে। নরেন্দ্র মোদীকে বললাম, আমাদের সমস্যাগুলি একই। আসুন আমরা একসাথে কাজ করি। দারিদ্র,জলবায়ুর প্ররিবর্তনে একসাথে কাজ করি। বিশ্বস্ততার ভিত্তিতে আমরা সম্পর্কন্নোয়নে কাজ করি। কিন্তু উনি প্রতিউত্তরে বললেন, পাকিস্থান সবসময় আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমি বলি, আমাদের সমস্যা একই। ঠিক একইভাবে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভারতীয় গুপ্তচর কলভূষণ যাদভ ধৃত হয়েছেন। সে স্বীকারও করেছে যে, সে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হয়ে কাজ করছিল। কিন্তু আসুন আমরা সেসব বিরোধপূর্ণ বিষয় পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাই শান্তির জন্যে। আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের স্বার্থ। কিন্তু মোদী তা মানল না। সে আমাদের সাথে সকল সংলাপ বাতিল করল।
ভারত নির্যাতিত কাশ্মীরে ২০ বছর বয়ষ্ক এক ছেলে আত্মঘাতি বোমা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য হত্যা করল। মোদী তাৎক্ষণিকভাবে দোষ চাপালেন পাকিস্থানের উপর। আমি বললাম, আপনি একটা প্রমান দেখান যে, পাকিস্থান এটায় জড়িত,তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব। পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ দেখানোর পরিবর্তে তারা পাকিস্থানের উপর বিমান হামলা চালালেন। আমরাও বদলা নিলাম এবং আমাদের শক্তি দেখিয়ে দিলাম। আমরা তাদের যুদ্ধ বিমানও ভূপাতিত করেছি এবং তাদের পাইলটকেও জীবিত আটক করেছি, কিন্তু সৌজন্যতা,উদারতার খাতিরে দ্রুত তাকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছি। এটা আমাদের উদারতা,দূর্বলতা নয়। আর মোদী আপনি বিমান হামলা চালিয়ে আমাদের যথেষ্ট ক্ষতি করেছেন। আপনি আমাদের ১০টি গাছ ধ্বংস করেছেন। আমরা আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলছি,কাজ করছি, আপনি সেখানে আমাদের ১০টি গাছ বিনা কারনে বিমান থেকে বোমা বর্ষনে ধ্বংস করেছেন। এটা আমাদের একটা বিরাট ক্ষতি !
মোদি নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছেন যে, তিনি পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, এটি ছিল ট্রেইলার, পূর্ণ মুভি পরে আসছে। আমরা ভাবলাম, এটা নির্বাচনে জেতার জন্য দেয়া বক্তৃতা। নির্বাচনের পর আমরা স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাবো। কিন্তু বিষয়টি তা ছিলো না।
নির্বাচনের পর আমরা বুঝতে পারি অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ভারত FATF কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া সংবিধানের ৩৭০ নং আর্টিকেল তারা বাতিল করলো। কাশ্মীরে প্রচুর সেনা সমাবেশ করলো। এখন কাশ্মীরে মোট সেনার পরিমাণ ৯০০,০০০। এর মাধ্যমে ৮ মিলিয়ন লোকের উপর কারফিউ জারি করা হলো।
মি. প্রেসিডেন্ট একজন লোক কিভাবে এটা করতে পারে! এটা বুঝার জন্য আপনাকে জানতে হবে আরএসএস সম্পর্কে। আমি আরএসএস সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে চাই। মি. নরেন্দ্র মোদি আরএসএস এর আজীবন সদস্য। আরএসএস এমন একটি সংগঠন যেটি এডলফ হিটলার এবং মুসোলিনীর হিংস্র আদর্শে অনুপ্রাণিত। নাৎসীরা যে পদ্ধতিতে অন্য সকল জাতি হতে নিজেদের সেরা ভাবতো একই ভাবে আরএসএসও নিজেদের সবার চেয়ে সেরা মনে করে।
আরএসএস ভারত হতে মুসলমানদের জাতিগত নিধনে বিশ্বাসী। এটা সবাই জানে, আরএসএস হিন্দুত্ববাদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বে বিশ্বাসী। তারা মুসলিম ও খৃস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। তারা বিশ্বাস করে মুসলিম শাসনের ফলে হিন্দুত্ববাদের সোনালী যুগের অবসান ঘটেছে। তারা সরাসরি মুসলিম ও খৃস্টানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়। এটা সবাই জানে। গুগল করে আপনি জানতে পারবেন আরএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা গোলকওয়ার। এই ঘৃণার আদর্শ ১৯৪৮ সালে হত্যা করেছে ভারতের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধীকে।
এই ঘৃণার আদর্শ আরএসএস এর গুন্ডাাদেরকে মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ২০০০ মুসলিমকে জবাই করতে প্রেরণা দিয়েছিল। মোদির নির্দেশে গেরুয়া পাঞ্জাবী পরে ৩ দিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিছিল আরএসএস এর সন্ত্রাসীরা। তাদের তান্ডবে ২০০০ মুসলিম নিহত হয় এবং গৃহহীন হয় ১৫০,০০০ মুসলিম। কংগ্রেস পার্টি বিবৃতি দিয়েছিল আরএসএস এর ক্যাম্পসমূহে সন্ত্রাসীরা রয়েছে। মোদী তখন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে আমেরিকা ভ্রমণ করতে পারেন নি।
৮ মিলিয়ন লোককে বন্দী করে রাখছে! এটা কেমন মানসিকাতা! সেখানো নারী শিশু অসুস্থ মানুষ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব কী ভাবছে? ৮ মিলিয়ন পশু বন্দী? তারা মানব সন্তান।
জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের উগ্র চিন্তাধারা নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে অন্ধ করে দিয়েছে। যখন কারফিউ উঠে যাবে তখন কী ঘটবে তারা চিন্তা করছে?
গত তিরিশ বছরে কাশ্মীরে ১০০,০০০ নাগরিক নিহত হয়েছে, ১১০০০ নারী ধর্ষিতা হয়েছে। এটা জাতিসংঘের রিপোর্ট। কিন্তু বিশ্ববাসী কিছু করছে না। কারণ তারা দেখছে ভারত তাদের জন্য ১.২ বিলিয়ন জনসংখ্যার বিশাল বাজার। বস্তুগত স্বার্থের কাছে বলি হচ্ছে মানবতা।
মোদি বলছে এটা কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু যখন ৮ মিলিয়ন কাশ্মীরি বন্দীত্ব ভেঙ্গে ৯০০,০০০ সেন্যের মোকাবিলা করবে তখন কী ঘটবে? আমি আশঙ্কা করছি রক্তগঙ্গা বইবে।
কাশ্মীরিদেরকে খাচাবন্দী পশুর মতো বাড়িতে বন্দী করে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদেরকে এমনকি প্রো‌-ইন্ডিয়ানদের‌ও গ্রেফতার করা হয়। ১৩০০০ যুবককে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবকদের ছড়রা গুলি দিয়ে অন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে আরো চরমপন্থা বাড়বে।
আমরা আশঙ্কা করছি আরো একটি পুল‌ওয়ামা ঘটনার। এবং যথারীতি ইন্ডিয়া দায়ী করবে পাকিস্তানকে।
ইন্ডিয়ান বিদেশ মন্ত্রী বলেছেন, সীমান্তে ৫০০ সন্ত্রাসী অপেক্ষা করছে। ৯০০,০০০ সৈন্যের বিরুদ্ধে ৫০০ সন্ত্রাসী কী করবে!
ইসলামিক টেররিজম টার্ম ব্যবহার করে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং কাশ্মীরীদের উপর নির্যাতন বৃদ্ধি করে।
কেন তারা শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করছে? কারণ ভারতের হাতে বিকল্প নেই। কাশ্মীরে তাদের নিষ্ঠুরতার প্রতিক্রিয়ায় আরেকটি পুলাওয়ামার মতো ঘটনা ঘটবে এবং তারা আমাদের দায়ী করে আবার পাকিস্তানে বোমা মারার চেষ্টা করবে।
আপনারা কি মনে করেন না যে, কাশ্মীরে ৮ মিলিয়ন লোকের দুর্দশা ভারতের ১৮০ মিলিয়ন মুসলমানকেও চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিতে পারে?
ইহূদী কমিউনিটির প্রতিক্রিয়া কী হবে যখন মাত্র ৮০০০ ইহুদিকে বন্দী করা হবে? ইউরোপীয়ানরা কী প্রতিক্রিয়া জানাবে? যেকোনো মানব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কী হবে?
---
সময় এখন খুবই জটিল। কিছু ঘটলে পাকিস্তানকে দায়ী করা হবে। ইতোমধ্যে পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি ফেব্রুয়ারি তে মুখোমুখি হয়েছিল। এজন্য জাতিসংঘের দায়িত্ব রয়েছে। ১৯৪৫ সালে এজন্যই প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ।
যদি আমরা পেছনে তাকাই, ১৯৩৯ সালে যখন মিউনিখ দখল করেছিল চেকোশ্লাভাকিয়া। বিশ্ব সম্প্রদায় ১.২ বিলিয়ন লোকের সমস্যা প্রশমনের জন্য কিছু করেছে? ন্যায়বিচার ও মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছে? পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশ প্রচলিত যুদ্ধে মুখোমুখি হলে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। এর পরিণতি হবে মারাত্মক।
একটি দেশ যে তার প্রতিবেশীর চেয়ে আয়তনে ৭গুণ ছোট, এমন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হলো যে, সে আত্মসমর্পণ করবে নাকি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করবে? আমি নিজেকে এই প্রশ্ন করি। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।
আমি পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছি না। এটি একটি আশঙ্কা। এটি জাতিসংঘের জন্য একটি পরীক্ষা। জাতিসংঘ‌ই কাশ্মীরের জনগণের নিজেদের পছন্দ বেছে নেয়ার অধিকারের গ্যারান্টি দিয়েছিল। ১৯৩৯ সালের মতো এটা কি সঠিক সময় নয়?
এটাই সময়, পদক্ষেপ নেয়ার এটাই সঠিক সময়। এবং প্রথম একশন হবে ইন্ডিয়াকে অবশ্যই কাশ্মীরে হিউম্যান কারফিউ তুলে নিতে বাধ্য করা হবে যেটি গত ৫৫ দিন ধরে চলমান। ১৩,০০০ কাশ্মীরী বালককে মুক্ত করতে হবে।
কাশ্মীরের জনগণের আত্ম অধিকার প্রতিষ্ঠা করার এটাই উপযুক্ত সময় জাতিসংঘের জন্য। ধন্যবাদ।

Sunday 29 September 2019

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হলেও, এখন অর্থ উপার্জনের মাধ্যম রাইড শেয়ারিং

ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি পেকুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু। তিনি এখন চট্টগ্রাম শহরে রাইড শেয়ার করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া তার স্ট্যাটাস হুবুহু দেওয়া হল।
কটি মাধ্যম।বাইকে একটু খাটুনি দিলে হাজার টাকা দিনে রোজগার করা যায়, যেখানে পূঁজি এক লক্ষ হলেই চলে সাথে বৈধ কাগজ পত্র।মাসে ত্রিশ হাজার টাকার একটি চাকরির জন্য আমরা কত কিছুইনা করি,,,জমি জমা বিক্রি করে নেতার পিছু পিছু ২/৪/৫/১০/২০,,,লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি হয়ে যায় সোনার হরিণের মত অধরা। অন্যদিকে টাকা ফেরত না পেয়ে আত্মহত্যা,মাদকাসক্ত, দেশান্তরি থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই জড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রাণশক্তি যুবসমাজ।
মোদ্দাকথা পাঠাও,ওবার,ওভাই,সহজ এগুলো ড্রাইভিং পেশাটির সম্মান বৃদ্ধি করেছে।একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে অল্প পূঁজিতে যে কেউই এই পেশায় আসতে পারে এবং এসেছেও,,,এমনকি মেয়েরাও,,,,
লজ্জা,শরম,ইগো,পাছেলোকে কিছু বলবে এই বিষয়গুলো মাথা থেকে ঝেড়ে আমার মত আপনিও নেমে পড়ুন রাস্তায়,,, সহজ পন্হায় হালাল পথে বৈধ ইনকাম।
কারো দয়ায়, কারো দাক্ষিণ্যে বা করুনায় বেশি দিন চলা যায় না।
কেউ আপনাকে চাকরি দিবে বা কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকাটা চরম বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।
অন্তত যতদিন পর্যন্ত আপনার যোগ্যতানুযায়ী কিছু করতে পারছেন না ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যান।
কথায় আছে অভাব দরজা দিয়ে ঢুকলে ভালবাসা জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়,,,
সুতরাং ঘরের মানুষের কাছে বোঝা এবং বাইরের মানুষের কাছে মজা না হতে চাইলে এখনি সিদ্বান্ত নিন আপনি কি করবেন??
মনে রাখবেন "ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাসাগর,,,"
বড় কিছু পেতে চাইলে ছোট দিয়েই শুরু করুন,,,, আজকের ছোট কাজের অভিজ্ঞতা আগামীকালের বড় কাজের প্রেরণা হয়ে আপনার সাহস সঞ্চার করবে।
বিঃদ্রঃ-আমাকে রাইড় শেয়ার করতে দেখে কেউ লজ্জা পেলে তার জন্য আমি দায়ী নই।